পুষ্টিগুণে ভরপুর খাওয়ার দুধ। ভিটামিন সি ও আয়রন ছাড়া প্রায় সব পুষ্টি উপাদানই দুধে উপস্থিত থাকে। ফলে এটিকে আদর্শ খাবার বলা হয়। প্রত্যেক মানুষের পুষ্টির বড় অংশ পূরণে প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০ মিলিলিটার দুধ বা দুধের তৈরি খাবার খাওয়া উচিত।
পানিশূন্যতার কারণে শরীর দুর্বল হওয়াসহ নানা ধরনের স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর এসব সমস্যার একটি প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া। এমন পরিস্থিতে ইউরিন ইনফেকশন বা প্রস্রাবে সংক্রমণ দেখা দিতে পারে।
শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম হলে রক্তস্বল্পতাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। আয়রনসমৃদ্ধ খাবার হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। হাতের কাছেই এ ধরনের খাবার পাওয়া যায়।
চুল পাকার ক্ষেত্রে ভিটামিনের অভাব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ফোলেট, ভিটামিন বি-১২, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডির অভাবে অকালে চুল পাকে। ভিটামিন সি-জাতীয় খাবারের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা ত্বক, চুলের পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে। অপুষ্টি, ভিটামিন, মিনারেলের অভাবে অনেকের চুল অকালে পেকে যায়
শরীরের চাহিদা অনুযায়ী প্রতিদিন আমাদের ভিটামিন খাওয়া উচিত। ফল ও সবজি থেকে ভিটামিন পেয়ে থাকি। আমাদের মাঝে তাই একধরনের মানসিকতা আছে যে ভিটামিন খেতে হবে। কিন্তু সেটা অবশ্যই পরিমাণমতো। ভিটামিন বেশি খেলেই যে উপকার পাওয়া যায় বিষয়টি এমন নয়। শরীরের চাহিদার চেয়ে বেশি ভিটামিন খেলে উপকারের চেয়ে অপকার হওয়ার আশঙ্
ভিটামিন সি-এর ঘাটতির ফলে ‘স্কার্ভি’ রোগে আক্রান্ত হয় মানুষ। এ শব্দটির উৎপত্তি স্কোরবুতাস (ল্যাটিন), স্করবাত (ফরাসি) এবং স্কোরবাট (জার্মান) থেকে। স্কার্ভি ছিল সারা বিশ্বের নৌ বাহিনীর সদস্যদের একটি নিয়মিত রোগ। অনুমান করা হয়, এ পর্যন্ত প্রায় ২০ লাখ নাবিক এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
কমলালেবু, মাল্টা ইত্যাদি ফলে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে। কিন্তু মাঝেমধ্যে খেতেই মন চায় না, তাই তো? তবে জানো কি, খাবার পরিবেশনের পদ্ধতির ওপর খাওয়ার রুচি অনেকটাই নির্ভর করে। চলো, আজ আমরা ভিটামিন সি-জাতীয় একটি ফল দিয়ে ফুড আর্ট করব।
শীত চলে এলে আমরা সবাই একটু সচেতন হই। কেননা শীতে ঠান্ডা, জ্বর, কাশি, ত্বকের রুক্ষতাসহ বিভিন্ন অসুখ আমাদের সহজে আক্রমণ করে থাকে। শীতকালীন এসব সমস্যার সমাধানে ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবার হবে ভালো উৎস।
সবার বাড়িতেই থাকে লেবু। ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণ ছাড়াও এটি নানা কাজে লাগে।